প্রশ্ন বিচিত্রা সমাধান |Class 9 Prosno Bichitra Solved 2024, Life Science, 2nd Summative, School-7

এখানে তোমরা ক্লাস 9 এর জীবন বিজ্ঞানের বা Life science প্রশ্ন বিচিত্রা সমাধান পাবে।দিত্বিয় পর্যায়ক্রমিক মূল্যায়ন ,School-7, পেজ -348 এর উত্তর।

ক্লাস 9 এর জীবন বিজ্ঞানের প্রশ্ন বিচিত্রা সমাধান|Model-7,Page 348

1.সঠিক উত্তরটি নির্বাচন করে লেখো :

(i) নাইট্রোজেনবিহীন সালোকসংশ্লেষকারী রঞ্জকটি হল –

উত্তর – (d) b ও c উভয়ই।

(ii) হেপারিন ক্ষরণকারী শ্বেত রক্তকণিকা হল –

উত্তর – (b) বেসোফিল।

(iii) পেশির ক্লান্তি দূর করতে সাহায্য করে –

উত্তর – (b) কোরি চক্র।

(iv) প্রদত্য কোনটি একটি সপুষ্পক মৃতজীবী উদ্ভিদ ? –

উত্তর – (b) মনোট্রোপা।

(v) মানুষের Wisdom Teeth গুলি কোন প্রকারের দাঁত ? –

উত্তর – (d) পেষক বা Molar।

2. নির্দেশ অনুসারে নিচের প্রশ্ন গুলির উত্তর দাও :

প্রশ্নগুলির নির্দেশমতো উত্তর দাও :

(i) হেপাটোপ্যানক্রিয়েটিক অ্যাম্পুলা কোথায় উন্মুক্ত হয় ?

উত্তর – ক্ষুদ্রান্তের ডিওডিনামে উন্মুক্ত হয়।

(ii) বৃহদন্তের প্রথম অংশের নাম কি ?

উত্তর – সিকাম।

(iii) শ্বেত রক্তকণিকার সংখ্যা স্বাভাবিক অপেক্ষা বেড়ে গেলে কি রোগ হয় ?

উত্তর – লিউকেমিয়া।

শুন্যস্থান পূরণ করো :

(iv) গ্লাইকোলাইসিসের শেষ পদার্থ হল পাইরুভিক অ্যাসিড

(v) ফুসফুসীয় ধমনীতে CO2 যুক্ত রক্ত প্রবাহিত হয়।

(vi) ADH হরমোনটি বৃক্কীয় নালিকার পুনঃশোষণ এ সাহায্য করে।

সত্য বা মিথ্যা নির্বাচন করো :

(vii) জলের আলোক বিশ্লেষণের ফলে O2 উৎপন্ন হয়।

উত্তর – সত্য

(viii) কেঁচোর দেহে মুক্ত সংবহনতন্ত্র বর্তমান।

উত্তর – মিথ্যা(আরশোলা)

(ix) বৃক্কের আবরণীর নাম প্লুরা।

উত্তর -মিথ্যা(ফুসফুসের)

বামস্তম্ভর সঙ্গে ডানস্তম্ভ মেলাও :

বামস্তম্ভ ডানস্তম্ভ
(x) কুইনাইন(b) ম্যালেরিয়া
(xi) হিমোসায়ানিন(c) আরশোলা
(xii) কাইলোমাইক্রন(e) লিপিড
(xiii) বাষ্পমোচন(a) রক্ষীকোষ

ক্লাস 9 এর জীবন বিজ্ঞানের প্রশ্ন বিচিত্রা সমাধান :

3. নিচের প্রশ্নগুলির সংক্ষিপ্ত উত্তর দাও:

(i) সালোকসংশ্লেষকে জারণ ও বিজারণ বিক্রিয়া বলে কেন ?

উত্তর – সালোকসংশ্লেষকে জারণ ও বিজারণ বিক্রিয়া বলার কারণ :

(a) সালোকসংশ্লেষে CO2 জলের সঙ্গে বিক্রিয়া করে গ্লুকোজ অর্থাৎ, C6H12O6 উৎপন্ন করে। এক্ষেত্রে CO2 এর সঙ্গে হাইড্রোজেন যুক্ত হয় অর্থাৎ বিজারণ ঘটে। সুতরাং,সালোকসংশ্লেষে কার্বন ডাইঅক্সসাইড (CO2) বিজারিত হয়।

(b) অন্য দিকে এই পদ্ধতিতে জল (H2O) থেকে মুক্ত অক্সিজেন উৎপন্ন হয় অর্থাৎ, হাইড্রোজেন অপসারিত হয়। সুতরাং, সালোকসংশ্লেষে জল (H2O) জারিত হয়।

(ii) বাওম্যানস ক্যাপসুল কি ?

উত্তর – (a) নেফ্রনের অগ্রপ্রান্তে অবস্থিত বাওম্যানস ক্যাপসুল হলো ফানেল সদৃশ বদ্ধ , স্ফিত প্রান্তযুক্ত গঠন।

(b) বাওম্যানস আবরকের সম্মুখপ্রান্ত প্রায় সম্পূর্ণরূপে গ্লোমেরুলাসকে বেষ্টন করে থাকে এবং পশ্চাৎপ্রান্ত বৃক্কীয় নালিকার সঙ্গে যুক্ত থাকে।

(c) এটি দুটি পৃথক একস্তরবিশিষ্ট কোষস্তর দ্বারা গঠিত।

(d) দুটি কোশস্তরের মাঝখানে ফাঁকা গহ্বরকে বাওম্যানের আবরক বিবর বলে।

(e) ভিসেরাল স্তর অ্যামিবা সদৃশ পোডোসাইট কোশ দ্বারা গঠিত।

(iii) মানব হৃৎপিণ্ডে অবস্থিত SA ও AV নোডের কাজ কি ?

উত্তর – SA নোডের কাজ- SA নোড প্রতি মিনিটে 70-80 বার হৃৎস্পন্দনের আবেগ সৃষ্টি করে যা হৃৎপিন্ডকে 70-80 বার (গড়ে 72 বার ) / মিনিট স্পন্দিত করে। এজন্য SA নোডকে হৃৎপিণ্ডের ছন্দনিয়ামক বা পেসমেকার বলে।

AV নোডের কাজ- AV নোড প্রতি মিনিটে 40-60 বার (গড়ে 50 বার ) হৃৎস্পন্দনের আবেগ সৃষ্টি করে। এই জন্য AV নোডকে সংরক্ষিত ছন্দ নিয়ামক বা রিসার্ভ পেসমেকার বলে।

(iv) খাদ্য পরিপাকে পিত্তলবনের কাজ লেখো।

উত্তর – পিত্তরসে সোডিয়াম গ্লাইকোকোলেট ও সোডিয়াম টোরোকোলেট নামক দুই প্রকার পিত্ত লবন থাকে।

(v) মানুষের দন্ত সংকেতটি লেখো।

উত্তর – I2/2, C1/1, PM2/2, M3/3.

যেখানে, I = Incisor বা কৃন্তক , C = Canine বা ছেদক , PM = Premolar বা পুরপেষক , M = Molar বা পেষক।

(vi) দ্বীপত্র ও ত্রিপত্র কপাটিকার অবস্থান ও কাজ লেখো।

উত্তর – দ্বীপত্র কপাটিকার অবস্থান ও কাজ :

অবস্থান- হৃৎপিণ্ডের বাম অলিন্দ ও বাম নিলয়ের সংযোগস্থলে অলিন্দ -নিলয় ছিদ্রপথে অবস্থিত।

কাজ- বাম অলিন্দ থেকে বেশি O2 যুক্ত রক্তকে বাম নিলয়ে প্রবেশে সাহায্য করে এবং নিলয়ের সংকোচনকালে রক্তকে বিপরীত পথে ফিরতে বাধা দেয়।

ত্রিপত্র কপাটিকার অবস্থান ও কাজ :

অবস্থান- হৃৎপিণ্ডের ডান অলিন্দ ও ডান নিলয়ের সংযোগস্থলে অলিন্দ-নিলয় ছিদ্রপথে অবস্থিত।

কাজ- বেশি CO2 যুক্ত রক্তকে ডান অলিন্দ থেকে ডান নিলয়ে প্রবেশ করতে সাহায্য করে এবং রক্তকে নিলয়ের সংকোচনের সময় বিপরীত পথে যেতে বাধা দান করে।

(vii) Rh – ফ্যাক্টর বলতে কি বোঝো ?

উত্তর – বিজ্ঞানী ল্যান্ডস্টেনার রক্তের Rh- ফ্যাক্টর আবিষ্কার করেন। ভারতীয় বাঁদর রিস্যাস এর রক্ত খরগোশের দেহে প্রবেশ করিয়ে খরগোশের সিরাম এ এক ধরণের এন্টিবডির সৃষ্টি করা হয়েছিল ,যাকে Rh- ফ্যাক্টর নামে অভিহিত হয়।

পরীক্ষা করে দেখা গেছে যে, কিছু মানুষের দেহে এইধরণের এন্টিজেন উপস্থিত। এই এন্টিজেনটি অনেকগুলি এন্টিজেনের সমন্বয়ে গঠিত এবং রিস্যাস বাঁদরের নামানুসারে Rh- ফ্যাক্টর নামে পরিচিত। প্রায় 85% মানুষের দেহে Rh- ফ্যাক্টর দেখা যায়।

FAQs

প্রাণীর শ্বাসকার্যে সাহায্যকারী দুটি অঙ্গের নাম লেখো।

উত্তর – ফুলকা ও ফুসফুস।

অ্যালভিওলাই কোথায় থাকে ?

উত্তর – ফুসফুসে থাকে।

শ্বসন কখন অনুষ্ঠিত হয় ?

উত্তর – শ্বসন সজীব কোশে দিবারাত্র ঘটে থাকে।

Leave a comment