স্কুলে প্রথম থেকে অষ্টম শ্রেণী পর্যন্ত দুপুরকালীন খাবারের জন্য চালু করা হয় সরকার কর্তৃক মিড ডে মিল ব্যবস্থা। তবে এই মিড ডে মিল খাবারের গুণগত মান নিয়ে বরাবরই উঠেছে নানা প্রশ্ন। এই খাবার খেয়ে অনেক সময় ছাত্র ছাত্রীদের শরীর খারাপ হতে দেখা গিয়েছে। আবার কখনো সেই খাবারে পাওয়া গেছে নানা রকমের পোকা মাকড়। আর এই ধরণের খবর বেশিরভাগ সময়ই উঠে আসে শিরোনামে। তবে এইবার কোনো পোকা মাকড় নয় খাবারে পাওয়া গেলো আস্ত একটা ব্যাঙ।
হ্যাঁ, ঠিকই শুনেছেন এইবার মিড ডে মিলের খাবারে দেখা মিললো ব্যাঙের। ঘটনাটি ঘটেছে বৃহস্পতিবার রাজ্যস্থানের চিতোরগড়ের গিলুন্ড গ্রামের একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। এই বিদ্যালয়ে দুপুরে খাবার পরিবেশনের সময় মৃত ব্যাঙ দেখতে পেয়ে চমকে গিয়েছিলেন স্কুলের কর্মীরা। ঘটনাটি জানাজানি হওয়ার পর তাৎক্ষণিকভাবে স্কুলের খাওয়ার দেওয়া বন্ধ করা হয়।
সূত্রের মাধ্যমে জানা গিয়েছে যে, অক্ষয় পাত্র ফাউন্ডেশন এর অধীনে চিতোরগড় পঞ্চায়েত সমিতি এলাকায় অনেক স্কুলে খাবার বিতরণ করা হতো। বৃহস্পতিবার শিক্ষার্থীদের খাবারের জন্য খিচুড়ি পাঠানো হয় আর সেই খিচুড়ি পরিবেশন করার আগে স্কুলের কর্মীরা দেখতে পান তাতে একটা ব্যাঙ পড়ে আছে। এই ঘটনাটি সামনে আসার পর এলাকায় আরো পাঁচটি বিদ্যালয় কে জানানো হয়। কারণ ওই অক্ষয় পাত্র ফাউন্ডেশন এর অধীনে আরো পাঁচটি বিদ্যালয় খাবার পাঠানো হতো এই খবর পাওয়ার পর ওই পাঁচটি স্কুলেও খাবার বিতরণ বন্ধ করে দেওয়া হয়। এই খবর জানার পর ফাউন্ডেশনের কর্মীরা স্কুলে পৌঁছায় এবং খাবার ফিরিয়ে নেন। পাঁচটি স্কুলে প্রায় ৩০০ শিশুর খাবারের দায়িত্ব নিয়েছিল তারা।এই ঘটনার জন্য পড়ুয়াদের বাড়িতে খাওয়ার জন্য ছুটি দিয়ে দেওয়া হয় এবং ফাউন্ডেশনও খবর পেয়ে তাড়াতাড়ি ফল পাঠায় পড়ুয়াদের জন্য।
খবর পাওয়া মাত্র ফাউন্ডেশনের ম্যানেজার দীপক শনি ঘটনাস্থলে পৌঁছান।ঘটনাস্থলে পৌঁছে তিনি ওই দিন বলেন ‘আমাদের জায়গা থেকে খাবার ঠিকই আছে,পরীক্ষার পর খাবার পাঠানো হয়। তবে কোনো শিশুকে খাবার দেওয়া হয়নি।কোথায় ত্রুটি ঘটেছে তা আমরা তদন্ত করছি’।
এই বিষয় সম্পর্কে খবর পৌঁছায় জেলা শিক্ষা অধিকারীক রাজেন্দ্র শর্মার কাছে।তিনি খবর পেয়ে প্রতিষ্ঠান প্রধানের সঙ্গে কথা বলেন তিনি বলেছেন যে তিনি অক্ষয় পাত্র ফাউন্ডেশনের ম্যানেজারের সাথে কথা বলেছেন ও তাদের রান্নাঘর পর্যবেক্ষণ করেছেন। কোথায় ভুল হয়েছে তা জানার জন্য তদন্ত চলছে।
বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিজ্ঞান বিভাগ থেকে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেছেন।তারপর গত এক বছর ধরে ডিজিটাল মিডিয়ার সঙ্গে যুক্ত আছেন এবং লেখালেখি করছেন।