এখানে তোমরা life science class 9 proshno bichitra answer solution পাবে।দিত্বিয় পর্যায়ক্রমিক মূল্যায়ন ,School-6, পেজ -347 এর উত্তর।
ক্লাস 9 এর জীবন বিজ্ঞানের প্রশ্ন বিচিত্রা সমাধান|Model-6,Page 347
1.সঠিক উত্তরটি নির্বাচন করে লেখো :
(i) সালোকসংশ্লেষের আলোক বিক্রিয়ায় উৎপন্ন উপজাত পদার্থ দুটি হলো –
উত্তর – (b) NADPH + H+ ও ATP।
(ii) যে রসে উৎসেচক থাকে না, হল –
উত্তর – (c) পিত্তরস।
(iii) সবাত স্বসনে উৎপন্ন ATP অনুর সংখ্যা হল –
উত্তর – (c) 38।
(iv) হাঁপানির ওষুধ পাওয়া যায় কোন গাছের রেচন পদার্থ থেকে ? –
উত্তর – (a) ধুতুরা।
(v) খাদ্য পরিবহনে সাহায্যকারী খনিজ মৌল টি হল –
উত্তর – (b) বোরন।
2. নির্দেশ অনুসারে নিচের প্রশ্ন গুলির উত্তর দাও :
শুন্যস্থান পূরণ করো :
(i) K ভিটামিন ও Ca++ খনিজ মৌল রক্ততঞ্চনের জন্য দায়ী।
(ii) হাইড্রা প্রাণীর অন্তঃকোষীয় ও বহিঃকোষীয় পরিপাক পরিলক্ষিত হয়।
(iii) লাইকেন হল শৈবাল ও ছত্রাক এর সহাবস্থান।
সত্য বা মিথ্যা নির্বাচন করো :
(iv) প্রোটিন পরিপাক মুখবিবরে সম্পন্ন হয়।
উত্তর – মিথ্যা। (শর্করা)
(v) মূলজ চাপ রসস্ফীতি চাপের কারণে হয়।
উত্তর -সত্য ।
(vi) চিংড়ির শ্বসন অঙ্গ বুক লাং।
উত্তর -মিথ্যা। (ফুলকা)
বামস্তম্ভর সঙ্গে ডানস্তম্ভ মেলাও :
বামস্তম্ভ | ডানস্তম্ভ |
(vii) অরনিথিন চক্র | (d) যকৃৎ |
(viii) করোনারি সাইনাস | (c) করোনারি শিরা |
(ix) CO2 | (b) ফুসফুস |
প্রশ্নগুলির নির্দেশমতো উত্তর দাও :
(x) কচু খেলে গলা ধরে কেন ?
উত্তর – কচুতে ক্যালসিয়াম অক্সালেট নির্মিত রাফাইড থাকে যা খাওয়ার সময় গলার মিউকাস স্তরে গেঁথে যায় ফলে গলা ধরে।
(xi) ল্যাকটিয়াল কি ?
উত্তর – ক্ষুদ্রান্তের অন্তঃপ্রাচীরে আঙুলের মতো অভিক্ষেপ বিশিষ্ট ভিলাইয়ের রক্তজালকের মধ্যে অবস্থিত লসিকাবাহকে ল্যাকটিয়াল বলে।
(xii) লিউকোপিনিয়ার কারণ কি ?
উত্তর – কারণ হলো – স্বেতরক্তকণিকার স্বাভাবিকের থেকে কমে যাওয়া।
উপযুক্ত শব্দ চয়ন করো :
(xiii) শামুক : অরগান অফ বোজনাস : : মশা : ম্যালপিজিয়ান নালিকা।
(xiv) RBC : হিমোসাইটোব্লাস্ট : : অনুচক্রিকা : মেগাক্যারিওসাইট।
Class 9 Proshno Bichitra Answer Solution 2024 :
3. নিচের প্রশ্নগুলির সংক্ষিপ্ত উত্তর দাও:
(i) রক্ততঞ্চন পদ্ধতিটি সংক্ষেপে আলোচনা করো।
উত্তর – রক্ততঞ্চন পদ্ধতি :
রক্ততঞ্চন প্রক্রিয়াটি একটি দ্রুত সংঘটিত ধারাবাহিক পর্যায়ক্রমিক বিক্রিয়া।
রক্ততঞ্চন প্রক্রিয়ার পর্যায়সমূহ :
পর্যায় 1 : ক্ষতস্থান থেকে রক্তপাতের সময় ক্ষতিগ্রস্ত কলাকোশ ও রক্তস্থিত অনুচক্রিকা রক্তবাহের ওই ক্ষত অংশের সংস্পর্শে ভেঙে যায় এবং ক্ষতস্থান থেকে থ্রম্বোপ্লাস্টিন নির্গত করে।
এই থ্রম্বোপ্লাস্টিন ক্যালসিয়াম আয়ন এর সহায়তায় প্রোথ্রম্বিনেজ নামক উৎসেচক গঠন করে।
পর্যায় 2 : ক্যালসিয়াম আয়ন এর উপস্থিতিতে প্রোথ্রম্বিনেজ হেপারিনের ক্রিয়া বিনষ্ট করে এবং রক্তরসস্থিত প্রোথ্রম্বিনকে থ্রম্বিনে পরিণত করে।
পর্যায় 3 : সক্রিয় থ্রম্বিন রক্তরসস্থিত ফাইব্রিনোজেনকে ভিটামিন -K ও Ca ++ এর উপস্থিতিতে ফাইব্রিনে পরিণত করে। ফাইব্রিন তন্তুর পলিমার জালকাকারে বিন্যস্ত হয় ও লোহিত রক্তকণিকা ও শ্বেত রক্তকণিকা ফাইব্রিনজালে আবদ্ধ হয়।
এর ফলে ক্ষতস্থানে রক্ত অর্ধকঠিন জেলির মতো থকথকে পদার্থে পরিণত হয় ও রক্ততঞ্চন ঘটে।
(ii) Z স্কিম রেখচিত্রের সাহায্যে দেখাও।
উত্তর –
(iii) প্রশ্বাসে পেশির ভূমিকা আলোচনা করো।
উত্তর – মানুষের শ্বাসকার্যে দুটি পেশি অংশগ্রহণ করে – (1) মধ্যচ্ছদা (2) ইন্টারকস্টাল পেশি।
(1) প্রশ্বাসে মধ্যচ্ছদা এর ভূমিকা : মধ্যচ্ছদা সংকুচিত হয়ে উদর গহ্বরের দিকে নেমে যায়।এরফলে বক্ষগহ্বরের আয়তন বৃদ্ধি পায় ও স্থিতিস্থাপক ফুসফুস প্রসারিত হয়। এই সময় ফুসফুসের মধ্যেকার বায়ুর চাপ কমে যায় ও প্রশ্বাস ঘটে।
(2) প্রশ্বাসে ইন্টারকস্টাল পেশির ভূমিকা : ইন্টারকস্টাল পেশি দুটি পঞ্জরাস্থির মাঝখানে পাশাপাশি তির্যক ভাবে অবস্থান করে। এই সমস্ত পেশিদের সংকোচনের ফলে বক্ষগহ্বরের আয়তন বাড়ে ও প্রশ্বাস ঘটে।
(iv) ‘বাষ্পমচোন একটি প্রয়োজনীয় ক্ষতিকারক প্রক্রিয়া ‘-উক্তিটি ব্যাখ্যা করো।
উত্তর – বিজ্ঞানী কার্টিস বাষ্পমোচনকে ‘প্রয়োজনীয় ক্ষতিকারক পদ্ধতি ‘ রূপে ব্যাখ্যা করেছেন ,কারণ –
(i) বাষ্পমোচনের মাধ্যমে উদ্ভিদদেহ থেকে প্রয়োজনাতিরিক্ত জল বাষ্পাকারে বাইরে নির্গত হয়।
গ্রীষ্মকালে বেশি গরমে দুপুরবেলা অতিরিক্ত জল বেরিয়ে গেলে বিরুৎজাতীয় উদ্ভিদ রস শিথিল হয়ে পরে এবং গাছ নেতিয়ে পরে। এর ফলে গাছের মৃত্যু ঘটে।
(ii) অতিরিক্ত বাষ্পমোচনের ফলে কোষরসের ঘনত্ব বেড়ে যায় ,ফলে সালোকসংশ্লেষ ব্যাহত হয় যা উদ্ভিদের বৃদ্ধিকে প্রভাবিত করে।
(iii) বাষ্পমোচনের মাধ্যমে উদ্ভিদদেহ শীতল হয় ও রসের উৎস্রোত ঘটে এবং জল ও খনিজ লবণের পরিবহন প্রভৃতি প্রয়োজনীয় কাজগুলি সম্পন্ন হলেও অতিরিক্ত বাষ্পমোচন উদ্ভিদদেহে সমস্যা তৈরী করে বলেই বাষ্পমোচনকে ‘প্রয়োজনীয় ক্ষতিকারক পদ্ধতি ‘রূপে গণ্য করা হয়।
(v) উদ্ভিদদেহে অভিস্রবনের ভূমিকা আলোচনা করো।
উত্তর – উদ্ভিদদেহে অভিস্রবনের ভূমিকা :
(1) উদ্ভিদদেহের জলের অনুপ্রবেশ : অন্তঃঅভিস্রবন প্রক্রিয়ায় উদ্ভিদদেহে মাটি থেকে কৈশিক জল ও খনিজ লবন এর অনুপ্রবেশ ঘটে।
(2) মুলে জলের পরিবহন : মূলের কর্টেক্স ও অন্তস্তক অঞ্চলে কোশান্তর অভিস্রবনের মাধ্যমে জলের পরিবহন ঘটে।
(3) রসের উৎস্রোত : জালেম বাহিকা দিয়ে রসের উর্দ্ধমুখী অভস্রবন প্রক্রিয়া পরোক্ষভাবে সাহায্য করে।
(4) মূলের বৃদ্ধি : মূলের কোশে রসস্ফিতি চাপ মুলকে মাটি ভেদ করে বৃদ্ধি পেতে সাহায্য করে।
(vi) পতঙ্গভুক উদ্ভিদ পতঙ্গ কেন গ্রহণ করে তা উল্লেখ করো ও তা থেকে পুষ্টি সম্পন্ন করে কিভাবে ?
উত্তর – পতঙ্গভুক উদ্ভিদ তাদের দেহে নাইট্রোজেনঘটিত পুষ্টিলাভের জন্য পতঙ্গদের দেহ থেকে পুষ্টিরস শোষণ করে।
পতঙ্গভুক উদ্ভিদের পুষ্টি সংগ্রহ পদ্ধতি :
(1) উদ্ভিদের পাতা পরিবর্তিত হয়ে বিভিন্ন আকৃতি ধারণ করে।পতঙ্গভুক উদ্ভিদের বেশিরভাগ ক্ষেত্রে পাতা গুলি রঙিন ও উজ্জ্বল বর্ণের হয় , যার ফলে কীটপতঙ্গ আকৃষ্ট হয়।
(2) পতঙ্গ উদ্ভিদের নির্দিষ্ট অঙ্গে বা ফাঁদে বসলে তা আবদ্ধ হয়।
(3) উদ্ভিদের পরিবর্তিত অঙ্গের গ্রন্থিকোশ থেকে প্রোটিন পাচনকারী উৎসেচক ক্ষরিত হয় এবং পতঙ্গের দেহকে পাচিত করে।
(4) পাচিত প্রোটিন উদ্ভিদ অঙ্গ শোষণ করে পুষ্টিলাভ করে।
(vii) মানবদেহে মুখবিবরে শর্করার পরিপাক কিভাবে ঘটে ?
উত্তর – খাদ্যগ্রহণ করার পর শর্করাজাতীয় খাবার অর্থাৎ সিদ্ধ শ্বেতসার মুখবিবরে লালারসের টায়ালিন ও মলটেজ উত্সেচকের সঙ্গে বিক্রিয়া করে সরলরূপে পরিণত করে।
প্রথম অবস্থায় টায়ালিন সিদ্ধ স্বেতসারকে মলটোজ এ পরিণত করে। পরে মলটোজ মলটেজ এর প্রভাবে গ্লুকোজে পরিণত হয়।
এই জন্য খাদ্য মুখে দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ভাত অথবা রুটির স্বাদ পাওয়া যায় না , পরে গ্লুকোজ সৃষ্টি হলে মিষ্টি স্বাদ পাওয়া যায়।
FAQs
উদ্ভিদদেহে বাষ্পমোচন প্রধানত কখন ঘটে ?
উত্তর – দিনেরবেলা।
বাষ্পমোচনের প্রধান স্থান কোনটি ?
উত্তর – পাতা।
কোন জৈবিক প্রক্রিয়াকে ‘প্রয়োজনীয় ক্ষতিকর পদ্ধতি ‘বলা হয় ?
উত্তর – বাষ্পমোচন প্রক্রিয়াকে।
বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিজ্ঞান বিভাগ থেকে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেছেন।তারপর গত এক বছর ধরে ডিজিটাল মিডিয়ার সঙ্গে যুক্ত আছেন এবং লেখালেখি করছেন।