প্রশ্ন বিচিত্রা সমাধান|Class 9 Prosno Bichitra Solved 2024, Life Science, 2nd Summative, School-5

এখানে তোমরা ক্লাস 9 এর জীবন বিজ্ঞানের সম্পূর্ণ Prosno Bichitra Solved পাবে।দিত্বিয় পর্যায়ক্রমিক মূল্যায়ন ,Model -5, পেজ -346-347 এর উত্তর।

ক্লাস 9 এর জীবন বিজ্ঞানের Prosno Bichitra Solved| Model-5,Page 346-347

1.সঠিক উত্তরটি নির্বাচন করে লেখো :

(i) সালোকসংশ্লেষ ঘটে –

উত্তর – (c) ক্লোরোফিলযুক্ত সকল উদ্ভিদ ও প্রাণীতে।

(ii) শ্বাসমূল দেখা যায়-

উত্তর – (d) ম্যানগ্রোভ জাতীয় উদ্ভিদে।

(iii) গ্লাইকোলাইসিস প্রক্রিয়াটি ঘটে থাকে –

উত্তর – (a) সাইটোপ্লাজম এ।

(iv) একমাত্র ধমনী যা CO2 যুক্ত রক্ত পরিবহন করে , তা হলো –

উত্তর – (c) ফুসফুসীয় ধমনী।

(v) ‘সর্বজনীন দাতা ‘ বলা হয় –

উত্তর – (d) O রক্ত গ্রুপ কে।

2. নির্দেশ অনুসারে নিচের প্রশ্ন গুলির উত্তর দাও :

শুন্যস্থান পূরণ করো :

(i) বাওম্যানস ক্যাপসুল ও গ্লোমেরুলাস নিয়ে গঠিত হয় ম্যালপিজিয়ান করপাসল।

(ii) যকৃৎ থেকে পিত্তরস ক্ষরিত হয়।

(iii) অলিন্দ বা নিলয় এর প্রসারণকে ডায়াস্টল বলে।

সত্য বা মিথ্যা নির্বাচন করো :

(iv) AB শ্রেণীর রক্তে উভয় প্রকার এন্টিজেন থাকে।

উত্তর – সত্য

(v) রাইজোবিয়াম একটি মিথোজীবী ব্যাকটেরিয়া।

উত্তর -সত্য

(vi) ক্রেবস চক্র এর বিক্রিয়াটি সাইটোপ্লাজমে ঘটে।

উত্তর -মিথ্যা(মাইটোকন্ড্রিয়াতে)

বামস্তম্ভর সঙ্গে ডানস্তম্ভ মেলাও :

বামস্তম্ভ ডানস্তম্ভ
(vii) SA নোড(c) হৃৎপিণ্ড
(viii) টায়ালিন(a) লালাগ্রন্থি
(ix) প্লুরা(d) ফুসফুস

প্রশ্নগুলির নির্দেশমতো উত্তর দাও :

(x) RuBp এর পুরো নাম কি ?

উত্তর – রাইবিউলেজ বিসফসফেটে।

(xi) সালোকসংশ্লেষ করতে পারে এমন একটি প্রাণীর নাম লেখো।

উত্তর – ক্রাইস্যামিবা।

(xii) একটি বহিঃপরজীবী প্রাণীর নাম লেখো।

উত্তর – উঁকুন।

(xiii) হিঁমসায়ানিন কি ?

উত্তর – মোলাস্কা ও আর্থ্রোপোডা প্রভিতি অমেরুদন্ডী পর্বের প্রাণীদের দেহে যে বিশেষ তাম্রঘটিত শ্বাস রঞ্জক থাকে তাকে হিমোসায়ানিন বলে।

(xiv) নেফ্রন কি ?

উত্তর – বৃক্কের কার্যগত ও গঠনগত একক কে নেফ্রন বলে।

3. নিচের প্রশ্নগুলির সংক্ষিপ্ত উত্তর দাও:

(i) রক্তের শ্রেণীবিভাগের গুরুত্ব লেখো।

উত্তর – (i) রক্ত সঞ্চারণ : কোনো রোগীকে শল্যচিকিৎসার সময় রক্তদান বা রক্তগ্রহণ করার প্রয়োজন হলে দাতা বা গ্রহীতার রক্তের শ্রেণী জানা অত্যন্ত প্রয়োজন। তা না হলে বিপরীত অ্যাগ্লুটিনোজেনের প্রভাবে রক্তের অ্যাগ্লুটিনেশন ঘটে।

(ii) ব্যক্তির শনাক্তকরণ : ফরেনসিক সায়েন্সে রক্তের শ্রেণী নির্ণয়ের সাহায্যে অপরাধী ব্যক্তিকে শনাক্ত করা হয়।

(ii) বৃক্কের দুটি কাজ লেখো।

উত্তর – (i) দেহ থেকে রেচন পদার্থের অপসারণ : মূত্র উৎপাদনের মাধ্যমে বৃক্ক দেহ থেকে ক্ষতিকারক নাইট্রোজেনঘটিত বর্জ্য পদার্থের অপসারণ ঘটায় ও দেহের অভ্যন্তরে স্থিতিসাম্য নিয়ন্ত্রণ করে।

(ii) দেহতরলে অম্ল – ক্ষার ভারসাম্য নিয়ন্ত্রণ : অম্লীয় ও ক্ষারীয় উপাদান রেচনের মাধ্যমে বৃক্ক দেহে জলের ভারসাম্য বজায় রাখে।

(iii) মৌল বিপাক হার কাকে বলে ?

উত্তর – একজন সুস্থ স্বাভাবিক খাদ্যগ্রহণের ঘন্টা পর সম্পূর্ণ শারীরিক ও মানসিক বিশ্রামরত অবস্থায় নাতিশীতোষ্ণ পরিবেশে দেহের প্রয়োজনীয় শারীরবৃত্তিয় ক্রিয়া সম্পাদনের জন্য প্রতি বর্গমিটার দেহতলে, প্রতি ঘন্টায় যে নূন্যতম তাপশক্তি নির্গত হয় , তাকে মৌল বিপাক হার বা BMR বলে।

(iv) সালোকসংশ্লেষের রাসায়নিক সমীকরণটি লেখো।

উত্তর –

সালোকসংশ্লেষের রাসায়নিক সমীকরণ
সালোকসংশ্লেষের রাসায়নিক সমীকরণ

(v) ‘বাষ্পমোচনকে প্রয়োজনীয় ক্ষতিকর পদ্ধতি ‘ বলা হয় কেন ?

উত্তর – বিজ্ঞানী কার্টিস বাষ্পমোচনকে ‘প্রয়োজনীয় ক্ষতিকারক পদ্ধতি ‘ রূপে ব্যাখ্যা করেছেন ,কারণ –

(i) বাষ্পমোচনের মাধ্যমে উদ্ভিদদেহ থেকে প্রয়োজনাতিরিক্ত জল বাষ্পাকারে বাইরে নির্গত হয়।গ্রীষ্মকালে বেশি গরমে দুপুরবেলা অতিরিক্ত জল বেরিয়ে গেলে বিরুৎজাতীয় উদ্ভিদ রস শিথিল হয়ে পরে এবং গাছ নেতিয়ে পরে। এর ফলে গাছের মৃত্যু ঘটে।

(ii) অতিরিক্ত বাষ্পমোচনের ফলে কোষরসের ঘনত্ব বেড়ে যায় ,ফলে সালোকসংশ্লেষ ব্যাহত হয় যা উদ্ভিদের বৃদ্ধিকে প্রভাবিত করে।

(iii) বাষ্পমোচনের মাধ্যমে উদ্ভিদদেহ শীতল হয় ও রসের উৎস্রোত ঘটে এবং জল ও খনিজ লবণের পরিবহন প্রভৃতি প্রয়োজনীয় কাজগুলি সম্পন্ন হলেও অতিরিক্ত বাষ্পমোচন উদ্ভিদদেহে সমস্যা তৈরী করে বলেই বাষ্পমোচনকে ‘প্রয়োজনীয় ক্ষতিকারক পদ্ধতি ‘রূপে গণ্য করা হয়।

(vi) মুক্ত সংবহনতন্ত্র কাকে বলে ? একটি উদাহরণ দাও।

উত্তর – যে সংবহনতন্ত্রে রক্ত কেবলমাত্র রক্তবাহের মধ্যে আবদ্ধভাবে সংবাহিত না হয়ে হিমোসিল বা সাইনাস বা ল্যাকুনায় উন্মুক্ত হয় এবং কলাকোষের প্রতক্ষ সংস্পর্শে আসে,তাকে মুক্ত সংবহনতন্ত্র বলে।

উদাহরণ – চিংড়ি ,আরশোলা প্রভৃতি অমেরুদন্ডী প্রাণী।

(vii) ব্যাপন ও অভিস্রবনের দুটি পার্থক্য লেখো।

উত্তর – ব্যাপন ও অভিস্রবনের পার্থক্য:

বিষয়ব্যাপনঅভিস্রবণ
(i) সংজ্ঞাএকই তাপমাত্রা ও চাপে কোনো পদার্থের অধিক ঘনত্বের স্থান থেকে কম ঘনত্বের স্থানে বিস্তার লাভ করাকে ব্যাপন বলে।অভিস্রবণ হলো এমন একটি প্রক্রিয়া যার মাধ্যমে দ্রাবকের অণুগুলি কম ঘনত্বের দ্রবণ থেকে বেশি ঘনত্বের অঞ্চলের দিকে ব্যাপিত হয়।
(ii) অর্ধভেদ্য পর্দাপ্রয়োজন হয় না।প্রয়োজন হয়।
(iii) অণুগুলির বিচরণএই প্রক্রিয়ায় পদার্থের গতিশীল অণুগুলি বেশি ঘনত্বের স্থান থেকে কম ঘনত্বের দিকে যায়।এই প্রক্রিয়ায় দ্রাবকের অনু কম ঘনত্বের স্থান থেকে বেশি ঘনত্বের দিকে ছড়িয়ে পড়ে।
(iv) প্রকৃতিএটি একটি ভৌত প্রক্রিয়া।এটি ভৌত প্রক্রিয়া হলেও রাসায়নিক প্রভাব বিদ্যমান।
ব্যাপন ও অভিস্রবনের পার্থক্য

Leave a comment