Edible Oil Stealing at Haldia – এ যেন এক বিরাট তেলের পুকুর।হ্যাঁ ,সম্প্রতি এই তেলের পুকুরের হদিস মিলেছে। স্থানীয়রা ঘটি ,বাটি সমস্ত কিছু নিয়ে নেমে পড়েছেন সেই পুকুরে। আর এমন দৃশ্য দেখা গেলো হলদিয়াতে। সূত্রের খবর ,হলদিয়ার একটি ভোজ্য তেল সংস্থার পাইপ লাইন ফুটো হয়েছে। আর এর ফলে ঘটে এই বিপত্তি।
পূর্ব মেদিনীপুরের হলদিয়াতে রয়েছে ইমামি অ্যাগ্রোটেক প্রাইভেট লিমিটেট। যেটি একটি ভোজ্য অর্থাৎ রান্নার তেল উৎপন্ন করার সংস্থা। আর এই সংস্থার পাইপলাইন ছড়িয়ে রয়েছে হলদিয়া বন্দর থেকে কারখানা পর্যন্ত। সেই পাইপলাইন ফুটো হয়ে ঘটে বিপত্তি। ঘটনাস্থলে ফুটো হওয়া পাইপের তেল গিয়ে মিশতে থাকে একটি তৎসংলগ্ন খালে। আর এই খবর ছড়িয়ে পড়ার পর সেখানে ভিড় বাঁধে স্থানীয়দের। কেউ যদি আসে দেখতে তো কেউ আসে বাটি ,ঘটি হাতে নিয়ে। যে যার মতো প্রয়োজনীয় তেল নিতে ব্যাস্ত। আবার এ দৃশ্যও চোখে পরে ,কেউ বা আবার তেল ভর্তি পুকুরে কোমর পর্যন্ত নেমে পাত্রে ভর্তি করতে থাকে।
কিভাবে ঘটলো এই ঘটনা ?
ঘটনাটি জানাজানি হওয়ার পর ইমামি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন , চুরির উদেশ্যে এই ঘটনাটি ঘটানো হয়েছে। তাদের দাবি এই ঘটনা প্রথমবার নয়, আগেও একাধিকবার ঘটেছে এই ঘটনা। এ নিয়ে পুলিশের কাছে অভিযোগ করেছে তারা। কিন্তু কিছু দিন পর পর এই পাইপ লাইন ফুটো করার ঘটনা বেশ চিন্তায় ফেলেছে প্রশাসনকে। কারণ, হলদিয়া হলো একটি শিল্প শহর। যেখানে এই ভোজ্য তেলের কারখানার পাশাপাশি রয়েছে আরো অনেক রাসায়নিক শিল্প কারখানা।এই ঘটনার বার বার পুনরাবৃত্তি হতে থাকলে যেকোনো সময় বিপদ হতে পারে। আর এই চিন্তায় এখন ভাবাচ্ছে সকলকে।
ইমামির তরফ থেকে দাবি , তাদের প্রায় ১ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে এই ঘটনায়। তেল চুরির জন্যই যে পাইপ ফুটো করা হয়েছিল তার ও যথেষ্ট প্রমানও পাওয়া গিয়েছে। এই ঘটনার নেপথ্যে যে তেল চোরদের হাত ছিল তা স্পষ্ট করে জানিয়েছেন কর্তৃপক্ষ। উক্ত ঘটনাস্থলে তারা পাইপলাইনের ভালভও খুঁজে পেয়েছেন ,যা থেকে স্পষ্ট যে এই ভালভ খুলেই ফুটো করা হয়েছে পাইপ।
যেহেতু এটা প্রথমবার নয় ,একাধিকবার একাধিক সংস্থায় এই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হতে দেখা গিয়েছে। ফলে এক্ষেত্রে ,পুলিশ প্রশাসনের নজরদারি নিয়েও উঠছে এক বিরাট প্রশ্ন।
বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিজ্ঞান বিভাগ থেকে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেছেন।তারপর গত এক বছর ধরে ডিজিটাল মিডিয়ার সঙ্গে যুক্ত আছেন এবং লেখালেখি করছেন।