কথায় আছে মাছে ভাতে বাঙালি। সারাদিনে বাঙালিদের একবেলা পাতে মাছ না হলে চলে না। আর সে মাছ যদি হয় ইলিশ তবে আর কোনো কথা নেই। ইলিশ মাছ পছন্দ করেন না বাঙালি বোধয় কমই আছেন এই পশ্চিমবাংলায়। তবে ইলিশ রফতানিতেও পশ্চিমবাংলা ভারতের মধ্যে এক নম্বর। আর এই রফতানির জন্যই ইলিশ প্রেমী বাঙালিদের জোগানে পড়ছে টান। ফলে দাম বেড়েছেও প্রচুর। তবে এইবার কি সস্তা হতে চলেছে ইলিশের দাম ? কি বলছে রাজ্য ?
গত কয়েক বছরের তুলনায় এই বছর বাংলার ইলিশের রফতানি গিয়েছে তলানিতে। ফলে আয় ও কমেছে রাজ্য সরকারের। এই বিষয়ে দিঘা ফিসারম্যান এন্ড ট্রেডার্স এসোসিয়েশনের সম্পাদক শ্যামসুন্দর দাস বলেছেন “ভারত থেকে খুব কম ইলিশ ইউরোপ অস্ট্রেলিয়া যাচ্ছে। যা যাচ্ছে, তার বেশিটাই বাংলার। মহারাষ্ট্র ও গুজরাটও কিছু রফতানি করে। তবে ছোট ইলিশ ধরা রুখতে কেন্দ্র করা আইন না আনলে রফতানি বাড়ানো অসম্ভব”। তিনি আরও বলেছেন যে বাংলায় এমন আইন থাকলেও ওড়িশায় এই আইন নেই।
পশ্চিমবঙ্গের মোট ইলিশ রফতানি
বাণিজ্যিক মন্ত্রক কর্তৃক প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪ সালে পশ্চিমবঙ্গ থেকে মোট ইলিশ রফতানি হয়েছে মাত্র ২৯০ কেজি যা গত বছরের তুলনায় পরিমানে অনেক কম। গত বছর এই রফতানির পরিমান ছিল ১৮৫০ কেজি। আর ২০২১-২০২২ অর্থবর্ষে ইলিশ রফতানির পরিমান ছিল সবথেকে বেশি যা প্রায় ১৯,৮০০ কেজি। তবে এই ইলিশের বেশিরভাগই গিয়েছিলো বাংলাদেশে। কিন্তু বর্তমান সময়ে রাজ্যের ইলিশ কেবলমাত্র ইংল্যান্ড ও ইউরোপ রফতানি হয়।
বাংলার ইলিশের চাহিদা যেমন দেশীয় বাজারে সব সময় বেশি, এদিকে আবার রপ্তানীয় কমছে। এর ফলে আয় যেমন কমছে তেমন উৎপাদন ও বাড়ছে। ফলে ইলিশের দাম কমবে বলে মনে করছেন বিশিষ্টজনেরা।
বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিজ্ঞান বিভাগ থেকে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেছেন।তারপর গত এক বছর ধরে ডিজিটাল মিডিয়ার সঙ্গে যুক্ত আছেন এবং লেখালেখি করছেন।