আসতে চলেছে বাজারে নতুন AI ফিচার Jio Brain, ঘোষণা আম্বানির

AI অর্থাৎ আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স সম্পর্কে বর্তমানে কমবেশি আমরা সবাই পরিচিত। ২০২৪ এ দাঁড়িয়ে ChatGPT, Meta AI, Gimini এই সমস্ত AI টুলের সম্পর্কে আমরা ওয়াকিবহল। কিন্তু এবার বাজারে আস্তে চলেছে নতুন এক AI ফিচার।আর এই ফিচার আনতে চলেছে স্বয়ং জিও। সম্প্রতি রিয়ালেন্স ইন্ডাস্ট্রিজ চেয়ারম্যান মুকেশ আম্বানি তাদের ৪৭ তম অ্যানুয়াল জেনারেল মিটিং এর মঞ্চ থেকে এ কথা ঘোষণা করেছেন। আর এই ফিচারটির নাম দিয়েছেন Jio Brain .

কি এই Jio Brain?

Jio Brain হল সম্প্রতি ঘোষিত জিও এর পক্ষ থেকে একটি AI ফিচার। এটি হল ৫G পরিষেবা যুক্ত উচ্চ গতি সম্পন্ন একটি প্লাটফর্ম যেখানে খুব সহজেই মোবাইল ইউজাররা AI সার্ভিস উপভোগ করতে পারবেন। এই প্রসঙ্গে মুকেশ আম্বানি জানিয়েছেন, বর্তমানে AI আমাদের জীবনের একটি অতিপ্রয়োজনীয় উপাদান হয়ে দাঁড়িয়েছে আর ভবিষৎ এ এর গুরুত্ব আরো বাড়তে চলেছে। তাই AI এর দুনিয়ায় Jio Brain যে একটি গুরুত্বপূর্ণ প্লাটফর্ম হয়ে উঠবে সে বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই।

কি কি সুবিধা পাবেন ইউজাররা ?

এই জিও ব্রেন ব্যবহার করে অনেক সুবিধা পাবেন ইউজাররা। তারা চাইলে বিভিন্ন ক্ষেত্রে ব্যবহার করতে পারবেন। মূলত কয়েকটি পরিসরে কাজ করবে এই জিও ব্রেন। সেগুলি হলো –

১. বিনোদনক্ষেত্রে

Jio Brain এর মাধ্যমে কোনো ব্যক্তি চাইলে তার নিজের মতো করে কনটেন্ট দেখতে পারবেন। তিনি যে সম্পর্কিত বিনোদন দেখতে চান তা তিনি সহজেই উপভোগ করতে পারবেন। এর মাধ্যমে বিনোদন হয়ে উঠবে ইউজারদের কাছে আরো আকর্ষণীয়।

২.কৃষিক্ষেত্রে

Jio Brain ব্যবহার করে কৃষকরা উপকৃত হবেন। এই এআই ফিচারের মধ্যে কৃষকরা মাটির উর্বরতা সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য ,কিভাবে উন্নত পদ্ধতিতে চাষ করলে আরো বেশি ফলন হবে সেই সমস্ত তথ্য খুব সহজেই পেতে পারবেন। এর মাধ্যমে আবহাওয়া সংক্রান্ত খবর থেকে শুরু করে সার কিভাবে ব্যবহার করতে হয় ,কোন সার বেশি উপযোগী ফসলের ক্ষেত্রে এই সমস্ত বিষয়ে ও উপদেশ পেতে চলেছেন। ফলে কৃষকরা যে লাভবান হবেন সে কথা আর বলার থাকে না।

৩. ডাক্তারি পরিষেবায়

এই ফিচারের মাধ্যমে ডাক্তাররাও উপকৃত হবে বলে জানানো হয়েছে। কোনো জটিল রোগ বুঝতে ও চিকিৎসা করতে সাহায্য করবে এই ফিচার। এর মাধ্যমে ২৪ ঘন্টা সাধারণ মানুষ চিকিৎসকদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারবেন। যাদের বাড়ির আশেপাশে কোনো ডাক্তারি পরিষেবা নেই তারা চাইলেই ভার্চুয়ালি ভাবে ডাক্তারদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারবেন।

৪. শিক্ষকতার কাজে

এই আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সির মাধ্যমে সাধারণ মানুষরা কম খরচে কোয়ালিটি এডুকেশন পেতে চলেছেন। এই ফিচার এ বাচ্চারা স্কিল ডেভেলপমেন্টের মাধ্যমে তাদের ভবিষৎ গড়ে তুলবে। এক্ষেত্রে পড়াশোনা হবে আরো মজার থাকবে না কোনো একঘেয়ামি।মূলত ছোট শহর, গ্রামাঞ্চলে সাধারণ মানুষরা এই সার্ভিসে পাবেন।

Leave a comment