পশ্চিমবঙ্গের সমস্ত কৃষকদের উদ্দেশ্যে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে চালু করা হয়েছিল কৃষকবন্ধু প্রকল্প। এই প্রকল্পের মাধ্যমে বহু কৃষকেরা উপকৃত হন। এই কৃষকবন্ধু প্রকল্পে কৃষকদের বছরে ২ বার করে কিস্তিতে টাকা দেওয়া হয়। ইতিমধ্যেই এই বছর একবার টাকা দেওয়া হয়ে গেছে। যেটা ছিল খারিফ ফসলের টাকা। তবে এইবার এই বছরের রবি শস্যের টাকা কবে নাগাদ দেওয়া হবে জানার জন্য বিজ্ঞপ্তিটি শেষ পর্যন্ত পড়তে থাকুন।
খারিফ শস্যকালীন টাকা
নবান্ন এর তরফ থেকে কৃষকবন্ধু প্রকল্প এর ক্যালেন্ডার অনুযায়ী টাকা দেওয়া হয় দুটি ধাপে। প্রথমত হল খারিফ সিজন যে সময় টাকা দেওয়া হয় অক্টোবর থেকে সেপ্টেম্বর মাসের মধ্যে। আর ইতিমধ্যেই এই টাকা পেয়ে গেছেন কৃষকেরা। আর দ্বিতীয়ত হল রবি সিজন। এই সিজনে টাকা দেওয়া হয় অক্টোবর থেকে মার্চ মাসে।
রবি শস্যকালীন টাকা
এখন বর্তমানে চলছে সেপ্টেম্বর মাস। এখন চলছে খারিফ সিজন। তাই এখন দ্বিতীয় কিস্তির টাকা ঢোকেনি। সামনের মাস অৰ্থাৎ অক্টোবর মাস থেকে শুরু হবে রবি ফসলের সিজন। কৃষকবন্ধু ক্যালেন্ডার অনুযায়ী যেটা চলবে মার্চ মাস পর্যন্ত। তাই ঠিক সঠিক ভাবে বলা যাচ্ছে না যে দ্বিতীয় কিস্তির টাকা কবে ঢুকবে ব্যাংক একাউন্ট এ।
তবে যদি আমরা কয়েক বছরের টাকা দেওয়ার সময় দেখি তবে আমরা বুঝতে পারবো কোন মাসে ঢুকতে চলেছে কৃষকবন্ধু প্রকল্পের দ্বিতীয় কিস্তির টাকা। ২০২২ সালে প্রথম কিস্তির টাকা দেওয়া হয়েছিল জুন মাস নাগাদ এবং দ্বিতীয় কিস্তির টাকা দেওয়া হয়েছিল ডিসেম্বর মাসে। ২০২৩ সালে এই টাকা দেওয়া হয়েছিল যথাক্রমে এপ্রিল এবং ডিসেম্বর মাসে।
সম্প্রতি তথা এই বছর ২০২৪ সালে ইতিমধ্যেই কৃষকবন্ধু প্রকল্প এর প্রথম কিস্তির টাকা দিয়ে দেওয়া হয়ে গিয়েছে। যা দেওয়া হয়েছে জুন মাস নাগাদ। যেখানে প্রায় ১ কোটি ৫ লক্ষ কৃষককে ২ হাজার ৯০০ কোটি টাকা দিয়ে উপকৃত করা হয়েছে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে।
তবে এখন বড়ো প্রশ্ন হলো কবে কৃষকরা পাবেন রবি ফসলের টাকা? তবে চিন্তা করার কোনো কারণ নেই নির্দিষ্ট সময়েই সবাই পাবে এই টাকা। যদি আমরা একটু বিগত বছরের গুলির দিকে নজর রাখি তবে দেখতে পাবো যে রবি সিজনের টাকা দেওয়া হয়েছিল ডিসেম্বর মাস নাগাদ। তাই এবারেও সম্ভবত এই সময়ের কোনো হেরফের হবে না। আর কয়েক মাস অপেক্ষা করলেই পাবেন টাকা।
বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিজ্ঞান বিভাগ থেকে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেছেন।তারপর গত এক বছর ধরে ডিজিটাল মিডিয়ার সঙ্গে যুক্ত আছেন এবং লেখালেখি করছেন।